Skip to main content

চতুর্থ শ্রেণীর ভাষাপাঠ বইয়ের সব প্রশ্ন উত্তর

 


১) স্বরযন্ত্র কাকে বলে? 

উত্তর :- , নিশ্বাসবায়ু যখন শ্বাসনালি দিয়ে গলায় আসে , সেখানে একটা যন্ত্র আছে , সেই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে হাওয়াটা বেরিয়ে যায় । যন্ত্রটার নাম স্বরযন্ত্র । গলা বলতে বুঝতে হবে এই স্বরযন্ত্রকে । স্বরযন্ত্রটা দেখতে আংটির মতো । এর মধ্যে দুটো খুব সূক্ষ্ম তন্ত্রী আছে । এদের স্বরতন্ত্রী বলে । হাওয়া যখন এই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে যায় , তখন এই তন্ত্রীদুটি কাঁপতে থাকে । এর ফলে ধ্বনির সৃষ্টি হয় । ধ্বনি বলতে গলার আওয়াজ। 

২) নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি কাকে বলে? 

উত্তর :-  ' পাতন ' শব্দের অর্থ ‘ ক্ষেপন ’ বা ‘ ফেলা ' । আর ' নি ' মানে ' না ' । অর্থাৎ , যে সমস্ত শব্দকে স্বরসন্ধির কোনও নিয়মের আওতায় ফেলা চলে না অথচ যেগুলি ব্যাকরণগতভাবে সিদ্ধ , তাদেরকেই বলা হয় নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি । 

৩) মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম কাকে বলে? 

উত্তর :- কী দিয়ে প্রশ্ন করলে আমরা যে কর্ম পাই, তাকে বলি মুখ্য কর্ম আর কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে আমরা পাই গৌণ কর্ম। 

৪) উদ্দেশ্য ও বিধেয় কাকে বলে? 

উত্তর :- বাক্যে থাকে দুটি অংশ যথা - উদ্দেশ্য ও বিধেয়। যার সম্পর্কে বলা হয় সেই অংশটি উদ্দেশ্য আর উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলা হলে তা হলো বিধেয়। 

৫) প্রতিধ্বনি কাকে বলে? 

উত্তর :- পাহাড়ে বা কোন ফাঁকা জায়গায় গলা ছেড়ে চেঁচিয়ে কিছু বললে একটু পরে সেই কথাটাই ফিরে আসে । তাকে বলে প্রতিধ্বনি। 

* এখানে কিছু প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ দেওয়া হলো। 

পথ - সড়ক, মার্গ। 

গৃহ - আবাস, ভবন। 

হাতী - গজ, করী। 

বাগান - উদ্যান, কানন। 

পৃথিবী - বিশ্ব, জগৎ। 

 একটি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা :-

  আজ বড়োদিন । গত পরশুদিনই বার্ষিক পরীক্ষার ফল বেরোল । গতকাল মা - বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানা , জাদুঘর , ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আর বিড়লা তারামণ্ডল দেখে এলাম । জন্মদিনে পাওয়া টিফিনবক্সে কেক , কমলালেবু তো ছিলই , বাইরেও আবদার করে পছন্দের অনেক জিনিস ও পেয়েছি । আজ জিশু খ্রিস্টের জন্মদিন । গতকালই পার্কস্ট্রিটে আলোর সাজ দেখছি । গিজাগুলো কত সুন্দর করে সাজানো । অ্যাকাডেমিতে ছোটোদের নাটক চলছে । যা ঠান্ডা পড়েছে । লেপের নীচে শুয়ে শুয়ে একটু আগেও ফেলুদার গল্প পড়ছিলাম । এখন শুধু ভাইয়ের সঙ্গে খুনশুটি । ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটার দিকে তাকাই আর ঠাসা পরিকল্পনায় ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠি ... জ্বর , সর্দি - কাশির কথা আজ না - ই বা ভাবলাম । কুয়াশায় এখন চারিদিক সাদা হয়ে আছে । কুয়াশা কেটে রোেদ বেরোতেই আমিও শুরু করব আমার আরেকটা ছুটির দিন – শুধুই আমার মতো করে কাটাতে । ইস্কুলের মাঠে ফুটবল নামাতেই সেটা শিশিরে ভিজে এক্সা হবে । অনেক . ছোটাছুটি করে শীতের সকালেও ঘামতে থাকব । ফিরে একটু পরে উঠেই বাবার সঙ্গে বাজারে যাব । শীতে কতরকম রঙিন শাক - সবজির ভিড় । সকাল দশটা বাজতেই বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা । শীত ঋতু আমার ভীষণ প্রিয় । ক্রিকেট , ব্যাডমিন্টন , ভলিবল ... কত খেলা । আর নতুন গুড়ের পিঠে - পায়েস । দুপুরে মায়ের হাতে তৈরি আচার ... ইংরাজি বছরের শেষ , নববর্ষ , বইমেলা ... উৎসবের ভিড় ...

আমার প্রিয় খেলা রচনা :- 

 খেলা অনেক রকমের হয় । কোনো খেলার জন্য লাগে মাঠ , আবার কোনো খেলা ঘরের ভিতরেও খেলা যায় । কোনো খেলা অনেকে মিলে খেলে , আবার কোনো খেলার জন্য লাগে দুজন । একা একা খেলা যায় এ রকম খেলাও আছে । তবে আমার সেইসব খেলাই পছন্দ যেখানে আছে গতি , সহখেলোয়াড়দের বোঝাপড়া , আক্রমণ - প্রতিআক্রমণ এবং অবশ্যই বুদ্ধি । আমি ক্রিকেট , ফুটবল , টেবল টেনিস , দাবা সব খেলাই খেলি । এইসব খেলার মধ্যে আমি আনন্দও পাই । দাবা - য় আক্রমণ ও বিপক্ষকে বুদ্ধির জোরে বেঁধে ফেলা , টেবল টেনিসে নিয়ন্ত্রিত শক্তি ও ছন্দ , ক্রিকেটের ধৈর্য ও শক্তির মিশেল আমাকে মুগ্ধ করে । কিন্তু এ সব কিছুই আমি খুঁজে পাই ফুটবলের মধ্যে । বল পায়ে গতি , বিপক্ষকে কাটিয়ে আক্রমণ করা এবং আক্রমণ প্রতিরোধ করে প্রতি আক্রমণে যাওয়া , বুদ্ধি করে জায়গা পরিবর্তন করে বিপক্ষকে বোকা বানিয়ে দেওয়া , নিজের দলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া এবং সবশেষে পাস - ড্রিবল - ডজ- শটের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি করা এক অপরূপ সৌন্দর্য— ফুটবলের মধ্যে সবই আছে । তাই সব খেলার মধ্যে ফুটবল খেলাই আমার প্রিয় । একটা সাদা - কালো চামড়ার বল আর সবুজ মাঠ আমার মন জুড়ে থাকে । কীভাবে বিপক্ষের ডিফেন্সকে তছনছ করা যায় , ঘুমের মধ্যেও আমি সেই ছবি দেখি । আর সব শেষে লক্ষ্যপূরণ । বিপক্ষের গোলে বল ঠেলে দেওয়া । এই লক্ষ্য কখনো পূরণ হয় , কখনো হয় তাই কখনো আনন্দ , কখনো খারাপ লাগা । চেষ্টা করি সবক্ষেত্রেই যেন ঠিক থাকি , আনন্দে বা দুঃখে ভেসে না যাই , বাবা বলেন জীবনটাও ফুটবল খেলার মতোই । মাঠে নামলে তাই বাবার কথাটাই মনে পড়ে ।



Comments

Popular posts from this blog

দেশের মাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 3

  শব্দার্থ :- শীতল - ঠান্ডা।  নাগ - সাপ।  ক্লান্তিহরা - যে ক্লান্তি দূর করে।  মাল্য - মালা।  খাঁটি - বিশুদ্ধ।  কমল - পদ্মফুল।  অঙ্গ - শরীর।  পাঁয়জোর - নূপুর।  শিয়র - মাথা।  কনক - সোনা।  নিদ-মহল -- ঘুমের প্রাসাদ।  অন্নপানি - খাবার ও জল, এককথায় খাদ্য।  নিতি - নিত্য, রোজ।  বার্তা - খবর।  ১) নীচের প্রশ্নগুলোর দু-এককথায় উত্তর দাও :- ১.১) তোমার দেশ কোনটি?  উত্তর :- আমার দেশ ভারতবর্ষ।  ১.২) সেই দেশটি কেমন?  উত্তর :- মধুর চেয়েও মধুর।  ১.৩) দেশে থাকতে কবির কেমন লাগে?  উত্তর :- দেশে থাকতে কবির খুবই ভালো লাগে।  ১.৪) এই কবিতায় এমন একটি ফলের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে খাবার এবং জল - দুটোই থাকে। কোন ফল তা লেখো।  উত্তর :- নারিকেল।  ১.৫) ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?  উত্তর :- কনক বা সোনা যেমন খুব মুল্যবান জিনিস তেমনি ধান ও খুব মুল্যবান জিনিস, তাই এখানে ধানকে কনকের সাথে তুলনা করা হয়েছে।  ১.৬) কবিতাটি কার লেখা?  উত্তর :- কবিতাটি কবি সত্যেন্দ্রনাথ দ...

পানতাবুড়ি যোগীন্দ্রনাথ সরকারের লেখা গল্পের প্রশ্ন উত্তর

  ১) এক কথায় উত্তর দাও :- ১.১) পানতাবুড়ির নাম অমন হলো কেন?  উত্তর :- সব দিন পানতাভাত খেত বলে।  ১.২) পানতাবুড়ির দিন চলত কেমন করে?  উত্তর :- ভিক্ষা করে।  ১.৩) পানতাবুড়ি কার জ্বালায় অস্থির?  উত্তর :- চোরের জ্বালায়।  ১.৪)  অস্থির হয়ে পানতাবুড়ি কি করতে চলল?  উত্তর :- রাজার কাছে নালিশ করতে চলল।  ১.৫) রাস্তায় প্রথমে তার কার সঙ্গে দেখা হলো?  উত্তর :- একটা বেল - এর সঙ্গে।  ১.৬) কিছুটা দূরে গিয়ে পানতাবুড়ির সঙ্গে কার দেখা হলো ?  উত্তর :-  একটা শিঙি মাছের ।  ১.৭) সূচ  বুড়িকে  কি বলেছিল?  উত্তর :- বুড়ি, বুড়ি কোথায় যাচ্ছো?  ১.৮) ক্রমে বুড়ির মাথা গরম হয়ে উঠল কেন?  উত্তর :- সবাই বারবার একই কথা জিজ্ঞেস করার জন্য।  ১.৯) বিরক্ত হয়ে বুড়ি কাকে কি বলেছিল?  উত্তর :- বিরক্ত হয়ে বুড়ি ছুরিকে  বলেছিল- যেথায় যাই না, তাতে তোর কি?  ১.১০) রাজবাড়ীর কাছে গিয়ে বুড়ি কি দেখল?  উত্তর :- বুড়ি দেখল, পথের ধারে একটা কুমির পড়ে আছে।  ১.১১) বুড়ি রাজবাড়ীতে কখন পৌছল?  উত্তর...

সাথী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রশ্ন উত্তর

  শব্দার্থ :- তেপান্তর - তিনটি প্রান্তর যেখানে মিলেছে, খুব বড়ো মাঠ।  ধু ধু - ফাকা, শূন্য।  ঝিলমিল - ঝিকমিক করা।  সাথি - সঙ্গি, বন্ধু।  আঁধি - ধুলিঝড়।  বিদ্যুল্লতা - লতার মত দেখতে বিদ্যুৎ, বিজলী।  অপরুপ - যার রুপের তুলনা হয়না।  বলাকা - পাখির ঝাক।  পারিযাত - কাল্পনিক ফুল।  সেথো - সঙ্গি, সাথি, বন্ধু।  বৃথা - ব্যার্থ, বিফল।  মিছিমিছি - শুধু শুধু, এমনি এমনি।  কুটোকাটা - খড়কুটো, ডালপালা।  ১) একটি বাক্যে উত্তর দাও :- ১.১) তালগাছ কোথায় একলা বাড়ল?  উত্তর :- তেপান্তর মাঠে।  ১.২) ঘন নীল ছায়ার মত কাদের দেখা যায়?  উত্তর :- দূরে মাঠ ঘেরা বনের লতাপাতাদের।  ১.৩) মাঠের চেয়ে বড়ো কে?  উত্তর :- মাঠের চেয়ে বড়ো আকাশ।  ১.৪) হাওয়ার সঙ্গে কে আসে?  উত্তর :- ফুলের গন্ধ।  ১.৫) ঝড়ের সঙ্গে কে কে আসে?  উত্তর :- আঁধি আর বৃষ্টি।  ১.৬) শরতের মেঘের সাথি কে?  উত্তর :- বলাকা।  ১.৭) তালগাছ কেন বৃথা আঁকুপাঁকু করে?  উত্তর :- তাদের সঙ্গে চলার জন্য।  ১.৮) তালগাছের কাছে কারা আসা...