১) স্বরযন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর :- , নিশ্বাসবায়ু যখন শ্বাসনালি দিয়ে গলায় আসে , সেখানে একটা যন্ত্র আছে , সেই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে হাওয়াটা বেরিয়ে যায় । যন্ত্রটার নাম স্বরযন্ত্র । গলা বলতে বুঝতে হবে এই স্বরযন্ত্রকে । স্বরযন্ত্রটা দেখতে আংটির মতো । এর মধ্যে দুটো খুব সূক্ষ্ম তন্ত্রী আছে । এদের স্বরতন্ত্রী বলে । হাওয়া যখন এই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে যায় , তখন এই তন্ত্রীদুটি কাঁপতে থাকে । এর ফলে ধ্বনির সৃষ্টি হয় । ধ্বনি বলতে গলার আওয়াজ।
২) নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর :- ' পাতন ' শব্দের অর্থ ‘ ক্ষেপন ’ বা ‘ ফেলা ' । আর ' নি ' মানে ' না ' । অর্থাৎ , যে সমস্ত শব্দকে স্বরসন্ধির কোনও নিয়মের আওতায় ফেলা চলে না অথচ যেগুলি ব্যাকরণগতভাবে সিদ্ধ , তাদেরকেই বলা হয় নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি ।
৩) মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম কাকে বলে?
উত্তর :- কী দিয়ে প্রশ্ন করলে আমরা যে কর্ম পাই, তাকে বলি মুখ্য কর্ম আর কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে আমরা পাই গৌণ কর্ম।
৪) উদ্দেশ্য ও বিধেয় কাকে বলে?
উত্তর :- বাক্যে থাকে দুটি অংশ যথা - উদ্দেশ্য ও বিধেয়। যার সম্পর্কে বলা হয় সেই অংশটি উদ্দেশ্য আর উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলা হলে তা হলো বিধেয়।
৫) প্রতিধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর :- পাহাড়ে বা কোন ফাঁকা জায়গায় গলা ছেড়ে চেঁচিয়ে কিছু বললে একটু পরে সেই কথাটাই ফিরে আসে । তাকে বলে প্রতিধ্বনি।
* এখানে কিছু প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ দেওয়া হলো।
পথ - সড়ক, মার্গ।
গৃহ - আবাস, ভবন।
হাতী - গজ, করী।
বাগান - উদ্যান, কানন।
পৃথিবী - বিশ্ব, জগৎ।
একটি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা :-
আজ বড়োদিন । গত পরশুদিনই বার্ষিক পরীক্ষার ফল বেরোল । গতকাল মা - বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানা , জাদুঘর , ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আর বিড়লা তারামণ্ডল দেখে এলাম । জন্মদিনে পাওয়া টিফিনবক্সে কেক , কমলালেবু তো ছিলই , বাইরেও আবদার করে পছন্দের অনেক জিনিস ও পেয়েছি । আজ জিশু খ্রিস্টের জন্মদিন । গতকালই পার্কস্ট্রিটে আলোর সাজ দেখছি । গিজাগুলো কত সুন্দর করে সাজানো । অ্যাকাডেমিতে ছোটোদের নাটক চলছে । যা ঠান্ডা পড়েছে । লেপের নীচে শুয়ে শুয়ে একটু আগেও ফেলুদার গল্প পড়ছিলাম । এখন শুধু ভাইয়ের সঙ্গে খুনশুটি । ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটার দিকে তাকাই আর ঠাসা পরিকল্পনায় ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠি ... জ্বর , সর্দি - কাশির কথা আজ না - ই বা ভাবলাম । কুয়াশায় এখন চারিদিক সাদা হয়ে আছে । কুয়াশা কেটে রোেদ বেরোতেই আমিও শুরু করব আমার আরেকটা ছুটির দিন – শুধুই আমার মতো করে কাটাতে । ইস্কুলের মাঠে ফুটবল নামাতেই সেটা শিশিরে ভিজে এক্সা হবে । অনেক . ছোটাছুটি করে শীতের সকালেও ঘামতে থাকব । ফিরে একটু পরে উঠেই বাবার সঙ্গে বাজারে যাব । শীতে কতরকম রঙিন শাক - সবজির ভিড় । সকাল দশটা বাজতেই বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা । শীত ঋতু আমার ভীষণ প্রিয় । ক্রিকেট , ব্যাডমিন্টন , ভলিবল ... কত খেলা । আর নতুন গুড়ের পিঠে - পায়েস । দুপুরে মায়ের হাতে তৈরি আচার ... ইংরাজি বছরের শেষ , নববর্ষ , বইমেলা ... উৎসবের ভিড় ...
আমার প্রিয় খেলা রচনা :-
খেলা অনেক রকমের হয় । কোনো খেলার জন্য লাগে মাঠ , আবার কোনো খেলা ঘরের ভিতরেও খেলা যায় । কোনো খেলা অনেকে মিলে খেলে , আবার কোনো খেলার জন্য লাগে দুজন । একা একা খেলা যায় এ রকম খেলাও আছে । তবে আমার সেইসব খেলাই পছন্দ যেখানে আছে গতি , সহখেলোয়াড়দের বোঝাপড়া , আক্রমণ - প্রতিআক্রমণ এবং অবশ্যই বুদ্ধি । আমি ক্রিকেট , ফুটবল , টেবল টেনিস , দাবা সব খেলাই খেলি । এইসব খেলার মধ্যে আমি আনন্দও পাই । দাবা - য় আক্রমণ ও বিপক্ষকে বুদ্ধির জোরে বেঁধে ফেলা , টেবল টেনিসে নিয়ন্ত্রিত শক্তি ও ছন্দ , ক্রিকেটের ধৈর্য ও শক্তির মিশেল আমাকে মুগ্ধ করে । কিন্তু এ সব কিছুই আমি খুঁজে পাই ফুটবলের মধ্যে । বল পায়ে গতি , বিপক্ষকে কাটিয়ে আক্রমণ করা এবং আক্রমণ প্রতিরোধ করে প্রতি আক্রমণে যাওয়া , বুদ্ধি করে জায়গা পরিবর্তন করে বিপক্ষকে বোকা বানিয়ে দেওয়া , নিজের দলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া এবং সবশেষে পাস - ড্রিবল - ডজ- শটের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি করা এক অপরূপ সৌন্দর্য— ফুটবলের মধ্যে সবই আছে । তাই সব খেলার মধ্যে ফুটবল খেলাই আমার প্রিয় । একটা সাদা - কালো চামড়ার বল আর সবুজ মাঠ আমার মন জুড়ে থাকে । কীভাবে বিপক্ষের ডিফেন্সকে তছনছ করা যায় , ঘুমের মধ্যেও আমি সেই ছবি দেখি । আর সব শেষে লক্ষ্যপূরণ । বিপক্ষের গোলে বল ঠেলে দেওয়া । এই লক্ষ্য কখনো পূরণ হয় , কখনো হয় তাই কখনো আনন্দ , কখনো খারাপ লাগা । চেষ্টা করি সবক্ষেত্রেই যেন ঠিক থাকি , আনন্দে বা দুঃখে ভেসে না যাই , বাবা বলেন জীবনটাও ফুটবল খেলার মতোই । মাঠে নামলে তাই বাবার কথাটাই মনে পড়ে ।
Comments