Skip to main content

দেশের মাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 3

 শব্দার্থ :- শীতল - ঠান্ডা। 

নাগ - সাপ। 

ক্লান্তিহরা - যে ক্লান্তি দূর করে। 

মাল্য - মালা। 

খাঁটি - বিশুদ্ধ। 

কমল - পদ্মফুল। 

অঙ্গ - শরীর। 

পাঁয়জোর - নূপুর। 

শিয়র - মাথা। 

কনক - সোনা। 

নিদ-মহল -- ঘুমের প্রাসাদ। 

অন্নপানি - খাবার ও জল, এককথায় খাদ্য। 

নিতি - নিত্য, রোজ। 

বার্তা - খবর। 

১) নীচের প্রশ্নগুলোর দু-এককথায় উত্তর দাও :-

১.১) তোমার দেশ কোনটি? 

উত্তর :- আমার দেশ ভারতবর্ষ। 

১.২) সেই দেশটি কেমন? 

উত্তর :- মধুর চেয়েও মধুর। 

১.৩) দেশে থাকতে কবির কেমন লাগে? 

উত্তর :- দেশে থাকতে কবির খুবই ভালো লাগে। 

১.৪) এই কবিতায় এমন একটি ফলের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে খাবার এবং জল - দুটোই থাকে। কোন ফল তা লেখো। 

উত্তর :- নারিকেল। 

১.৫) ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন? 

উত্তর :- কনক বা সোনা যেমন খুব মুল্যবান জিনিস তেমনি ধান ও খুব মুল্যবান জিনিস, তাই এখানে ধানকে কনকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। 

১.৬) কবিতাটি কার লেখা? 

উত্তর :- কবিতাটি কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা। 

* কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জীবনী :-

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ( ১৮৮২-১৯২২) :- বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অন্যতম জনপ্রিয় কবি। 'ছন্দের জাদুকর' নামে বিখ্যাত। উল্লেখযোগ্য কবিতার বই - 'সবিতা', 'সন্ধিক্ষণ' , 'বেণু ও বিণা', 'হোমশিখা', 'ফুলের ফসল', 'কুহু ও কেকা', 'তুলির লিখন', 'অভ্র আবির' প্রভৃতি। নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধের বই লিখেছেন , অনুবাদ করেছেন বহু কবির অজস্র কবিতা। সংস্কৃত, ইংরেজি ও অন্যান্য কোনো কোনো বিদেশী ভাষার ছন্দ বাংলায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশের জীবন এবং গ্রাম আর প্রকৃতির নিবীড় পরিচয় তার কবিতার জগৎকে গড়ে তুলেছে। 

২) ঠিক উত্তরটির মাথায় (√) চিহ্ন দাও :-

২.১) মাথায় সূর্য এসে ( সোনার / রুপোর / তামার  ) কাঠি ছোঁয়ায়। 

উত্তর :- সোনার। 

২.২) ( পাহাড় / বন / সাগর ) সে তার ধোয়ায় পা-টি। 

উত্তর :- সাগর। 

২.৩)  দেশের কোল ভরে আছে ( কনক / আমন / রঙিন) ধান। 

উত্তর :- কনক। 

২.৪) গন্ধে মাতায় ( লীলা / নীল / লাল  ) কমল। 

উত্তর :- লীলা। 

৩) শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :-

ধোয়া - পরিস্কার করা। 

ধোঁয়া - ধুম্র। 

পাটি - সাজিয়ে। 

পা, টি - শরীরের অঙ্গ। 

খাটি - পরিশ্রম করে। 

খাঁটি - আসল। 

৪) যুক্তাক্ষর আছে, এমন পাঁচটি শব্দ কবিতাটি থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :-

উত্তর :- চন্দনেরি, গন্ধে, ক্লান্তি, অঙ্গ, জোৎস্না । 

৫) কে কোন কাজটি করে লেখো :- 

সূর্য - শিয়রে সূর্য এসে হেসে সোনার কাঠি ছোঁয়ায়। 

পাহাড় - পাহাড় আড়াল করে। 

সাগর - সাগর পা ধোয়ায়। 

নাগ - নাগ দিনে পাহারা দেয়। 

বাঘ - বাঘ রাতে পাহারা দেয়। 

নীলকন্ঠ পাখি - মুক্তি-সুখের বার্তা আনে। 

৬) নিজের ভাষায় নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :-

৬.১) কবিতাটিতে দেশের রুপবর্ণনায় কবি কি কি ফুলের নাম বলেছেন? 

উত্তর :- কবিতাটাতে কবি দেশের রুপবর্ণনার করার জন্য মউল, কমল, লবঙ্গ, বকুল আর দোপাটি  ফুলের নাম বলেছেন। 

৬.২) সেইসব ফুল দেশকে কীভাবে সাজিয়েছে? 

উত্তর :- সেইসব ফুল দেশের মাথায় মালা হিসাবে আর দেশকে তাদের সুগন্ধ দিয়ে মাতিয়ে রেখেছে। 



Comments

Popular posts from this blog

আরাম কবিতার প্রশ্ন উত্তর। শঙ্খ ঘোষের কবিতা।

  ১) এককথায় উত্তর দাও :- ১.১) কূজন কি?  উত্তর :- পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ।  ১.২) কীভাবে ঘুম ভাঙল?  উত্তর :- পাখিদের কূজনে ঘুম ভাঙল।  ১.৩) ঘুম ভেঙে কি দেখা গেল?  উত্তর :- ঘুম ভেঙে দেখা গেল, দুই পাশে বাবা-মা দুজনেই আছে।  ১.৪) জিজি আর পুতুলেরা  কি করছে?  উত্তর :- জিজি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে আর পুতুলেরা ঘরে নাচছে।  ১.৫) ' কি আরাম ' ------ কখন এমন মনে হলো?  উত্তর :- যখন একদিকে আজান আর একদিকে সিয়ারাম শুনে সবকিছু ঠিকঠাক আছে মনে হলো।  ১.৬) সবকিছু ঠিকঠাক মনে হলো কখন?  উত্তর :- যখন একদিকে আজান আর একদিকে সিয়ারাম শোনা গেল তখন।    শব্দার্থ  :-    কুজন - কাকলি, পাখির ডাক।    জিজি - দিদি।  বেঘোর - বেহুশ বা অচেতন।  টুং টাং - একরকম আওয়াজ বা শব্দ, এখানে বাজনার শব্দ বোঝাচ্ছে।  আরাম - সস্তি বোধ করা।  সিয়ারাম - সিতারাম শব্দ থেকে এসেছে।  আজান - নামাজ পড়ার জন্য ডাক । ২) যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখো :- ২.১) কবিতাটিতে ( ভোরবেলার / রাত্রিবেলার) কথা বলা হয়েছে।  উত্তর :- ভোরবেলার।...

নৌকাযাত্রা কবিতা। নৌকাযাত্রা কবিতা প্রশ্ন উত্তর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা।

                 নৌকাযাত্রা          রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মধু মাঝির ওই যে নৌকাখানা       বাঁধা আছে রাজগঞ্জের ঘাটে---- কারো কোন কাজে লাগছে না তো,        বোঝাই করা আছে কেবল পাটে।  আমায় যদি দেয় তারা নৌকাটি        আমি তবে একশোটা দাঁড় আঁটি,  পাল তুলে দিই চারটে পাঁচটা ছটা -----           মিথ্যে ঘুরে বেড়ায় নাকো হাটে ,  আমি কেবল যাব একটি বার           সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার।  তখন তুমি কেঁদো না মা, যেন          বসে বসে একলা ঘরের কোণে।  আমি তো মা, যাচ্ছি নাকো চলে           রামের মতো চোদ্দো বছর বনে।  আমি যাব রাজপুত্র হয়ে             নৌকা ভরা সোনা-মানিক বয়ে,  আশুকে আর শ্যামকে নেব সাথে,               আমরা শুধু যাব মা, তিনজনে।  আমি কেবল যাব একটিবার   ...