Skip to main content

আরাম কবিতার প্রশ্ন উত্তর। শঙ্খ ঘোষের কবিতা।

 ১) এককথায় উত্তর দাও :-

১.১) কূজন কি? 

উত্তর :- পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ। 

১.২) কীভাবে ঘুম ভাঙল? 

উত্তর :- পাখিদের কূজনে ঘুম ভাঙল। 

১.৩) ঘুম ভেঙে কি দেখা গেল? 

উত্তর :- ঘুম ভেঙে দেখা গেল, দুই পাশে বাবা-মা দুজনেই আছে। 

১.৪) জিজি আর পুতুলেরা  কি করছে? 

উত্তর :- জিজি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে আর পুতুলেরা ঘরে নাচছে। 

১.৫) ' কি আরাম ' ------ কখন এমন মনে হলো? 

উত্তর :- যখন একদিকে আজান আর একদিকে সিয়ারাম শুনে সবকিছু ঠিকঠাক আছে মনে হলো। 

১.৬) সবকিছু ঠিকঠাক মনে হলো কখন? 

উত্তর :- যখন একদিকে আজান আর একদিকে সিয়ারাম শোনা গেল তখন। 

 শব্দার্থ  :-   কুজন - কাকলি, পাখির ডাক।  

 জিজি - দিদি। 

বেঘোর - বেহুশ বা অচেতন। 

টুং টাং - একরকম আওয়াজ বা শব্দ, এখানে বাজনার শব্দ বোঝাচ্ছে। 

আরাম - সস্তি বোধ করা। 

সিয়ারাম - সিতারাম শব্দ থেকে এসেছে। 

আজান - নামাজ পড়ার জন্য ডাক ।

২) যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখো :-

২.১) কবিতাটিতে ( ভোরবেলার / রাত্রিবেলার) কথা বলা হয়েছে। 

উত্তর :- ভোরবেলার। 

২.২) পুতুলেরা ( এ ঘরে/ ও ঘরে  ) নেচে উঠছে। 

উত্তর :- এ ঘরে। 

২.৩) ( আজ / কাল  ) কি আরাম। 

উত্তর :- আজ। 

৩) কবিতাটি পড়ে বাক্য সম্পূর্ণ করো :-

৩.১) আজ ঘুম ভেঙে দেখি ______________ । 

উত্তর :- পাখিদের কূজনে। 

৩.২) পুতুলেরা ____________ নেচে ওঠে এ ঘরে। 

উত্তর :- টুংটাং। 

৩.৩) ওইদিকে শোনা যায় _______________ । 

উত্তর:- সিয়ারাম। 

৩.৪) ওই ঘরে জিজি _____________ ঘুমায়। 

উত্তর :- বেঘোরে। 

৪) শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো :-

কূজন = পাখিদের কূজন বড়োই সূমধুর। 

টুংটাং = পুতুলেরা টুংটাং শব্দে নেচে ওঠে। 

বেঘোরে = আমার দিদি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। 

আরাম = এবার তুমি আরাম করো। 

৫) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :-

ঘুম - জাগা। 

ভেঙে - গড়ে। 

ঘরে - বাইরে। 

আজ - কাল। 

ওঠে - নামে। 

৬) শব্দঝুড়ি থেকে উপযুক্ত শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :- 

আরাম, ভাঙে, ভালোবাসেন, নেচে

৬.১) রোজ সকালে আমাদের ঘুম __________। 

উঃ- ভাঙে। 

৬.২) বাবা-মা আমাদের _________________ । 

উঃ- ভালোবাসেন। 

৬.৩) আনন্দে মন ___________ ওঠে। 

উঃ- নেচে। 

৬.৪) প্রচন্ড গরমে ___________ নেই। 

উঃ- আরাম। 

শঙ্খ ঘোষ জীবনী :-

শঙ্খ ঘোষ ( জন্ম ১৯৩২) :- বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ' দিনগুলি রাতগুলি'। এছাড়াও লিখেছেন ' নিহিত পাতাল ছায়া ', 'বাবরের প্রার্থনা', 'পাজরে দাঁড়ের শব্দ' ইত্যাদি। ছোটদের জন্য লিখেছেন ---- 'ছোট্ট একটা স্কুল', 'অল্পবয়স কল্পবয়স','শব্দ নিয়ে খেলা', 'সকালবেলার আলো', 'সুপুরি বনের সারি', 'শহর পথের ধুলো' ইত্যাদি। প্রবন্ধের বই হিসেবে 'কালের মাত্রা ও রবীন্দ্র নাটক', 'ছন্দোময় জীবন' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 

Comments

Popular posts from this blog

দেশের মাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 3

  শব্দার্থ :- শীতল - ঠান্ডা।  নাগ - সাপ।  ক্লান্তিহরা - যে ক্লান্তি দূর করে।  মাল্য - মালা।  খাঁটি - বিশুদ্ধ।  কমল - পদ্মফুল।  অঙ্গ - শরীর।  পাঁয়জোর - নূপুর।  শিয়র - মাথা।  কনক - সোনা।  নিদ-মহল -- ঘুমের প্রাসাদ।  অন্নপানি - খাবার ও জল, এককথায় খাদ্য।  নিতি - নিত্য, রোজ।  বার্তা - খবর।  ১) নীচের প্রশ্নগুলোর দু-এককথায় উত্তর দাও :- ১.১) তোমার দেশ কোনটি?  উত্তর :- আমার দেশ ভারতবর্ষ।  ১.২) সেই দেশটি কেমন?  উত্তর :- মধুর চেয়েও মধুর।  ১.৩) দেশে থাকতে কবির কেমন লাগে?  উত্তর :- দেশে থাকতে কবির খুবই ভালো লাগে।  ১.৪) এই কবিতায় এমন একটি ফলের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে খাবার এবং জল - দুটোই থাকে। কোন ফল তা লেখো।  উত্তর :- নারিকেল।  ১.৫) ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?  উত্তর :- কনক বা সোনা যেমন খুব মুল্যবান জিনিস তেমনি ধান ও খুব মুল্যবান জিনিস, তাই এখানে ধানকে কনকের সাথে তুলনা করা হয়েছে।  ১.৬) কবিতাটি কার লেখা?  উত্তর :- কবিতাটি কবি সত্যেন্দ্রনাথ দ...

নৌকাযাত্রা কবিতা। নৌকাযাত্রা কবিতা প্রশ্ন উত্তর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা।

                 নৌকাযাত্রা          রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মধু মাঝির ওই যে নৌকাখানা       বাঁধা আছে রাজগঞ্জের ঘাটে---- কারো কোন কাজে লাগছে না তো,        বোঝাই করা আছে কেবল পাটে।  আমায় যদি দেয় তারা নৌকাটি        আমি তবে একশোটা দাঁড় আঁটি,  পাল তুলে দিই চারটে পাঁচটা ছটা -----           মিথ্যে ঘুরে বেড়ায় নাকো হাটে ,  আমি কেবল যাব একটি বার           সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার।  তখন তুমি কেঁদো না মা, যেন          বসে বসে একলা ঘরের কোণে।  আমি তো মা, যাচ্ছি নাকো চলে           রামের মতো চোদ্দো বছর বনে।  আমি যাব রাজপুত্র হয়ে             নৌকা ভরা সোনা-মানিক বয়ে,  আশুকে আর শ্যামকে নেব সাথে,               আমরা শুধু যাব মা, তিনজনে।  আমি কেবল যাব একটিবার   ...