Skip to main content

কিসের থেকে কী যে হয় প্রচলিত গল্প প্রশ্ন উত্তর

 শব্দার্থ :- গৃহস্থ - গৃহে বাস করে যে। 

কিশোরী - অল্পবয়স্কা। 

কাটারি - দা। 

ক্ষতি - অপকার। 

তিরবেগে - তিরের মতো দ্রুত বেগে। 

প্রকান্ড - বড়ো। 

গোদা - মোটা এবং বড়ো। 

সোনালী - সোনার মত রঙ যার। 

ঘুরপাক - গোল হয়ে ঘোরা। 

বেজায় - খুব। 

যন্ত্রণা - ব্যাথা। 

শাস্তি - সাজা। 

১) একটি বাক্যে উত্তর দাও :-

১.১) কিশোরী মেয়ে বনে কি করতে যায়? 

উত্তর :- কিশোরী মেয়ে বনে কাঠ কাটতে যায়। 

১.২) কার লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গিয়েছিল? 

উত্তর :- একটা ছোট্ট কাঠবিড়ালির লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গিয়েছিল। 

১.৩) কিশোরী মেয়ে কোন হাতে কাটারি ধরে ছিল? 

উত্তর :- কিশোরী মেয়ে বাঁ হাতে কাটারি ধরে ছিল। 

১.৪) ছোট পাখি কার কানে ঢুকে গিয়েছিল? 

উত্তর :- ছোট পাখি হাতির কানে ঢুকে পড়েছিল। 

২) তিন-চারটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :-

২.১) কিশোরী মেয়েরা কিসের জন্য বনে যেত? 

উত্তর :- কিশোরী মেয়েরা সকালে কিছু খেয়েই বনে কাঠ কাটতে চলে যেত। তারা ফিরে আসত দুপুরে। তারা উনুন জ্বালাবার জন্য বনের শূকনো কাঠ কেটে নিয়ে আসত। যে ডালগুলি  কিছু থাকত গাছে আর কিছু থাকত গাছের নিচে মাটিতে পড়ে। 

২.২) কাঠবিড়ালি রেগে গিয়েছিল কেন? সে রেগে গিয়ে কী করেছিল? 

উত্তর :- কিশোরীর বাঁ-হাত থেকে কাটারি পড়ে গিয়ে কাঠবিড়ালির লেজ কেটে গিয়েছিল। তাই কাঠবিড়ালি খুব রেগে গিয়েছিল, কারণ সে কোনদিন কারও ক্ষতি করেনি। সে রেগে গিয়ে তরতর করে গাছের উপরে উঠে একটি ফলের উপর দাঁত বসাল। 

২.৩) হরিণ ভয় পেয়েছিল কেন? ভয় পেয়ে সে পাখির কি ক্ষতি করেছিল? 

উত্তর :- অনেক উঁচু থেকে আচমকা হরিণের মাথায় ফল পড়ার ফলে হরিণ খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল।  ভয় পেয়ে সে সেখান থেকে তীরবেগে দৌড়াতে শুরু করেছিল, যদি আবার মাথায় কিছু পড়ে এই ভয়ে। দৌড়ানোর সময়  অসাবধানতাবশত তার পায়ের চাপে কিছু পাখির বাসার ডিম ভেঙে গিয়েছিল। 

২.৪) হাতি কেন চাষির ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছিল? 

উত্তর :- হাতির কানের মধ্যে ছোট্ট পাখি ঢুকে যাওয়ায়, হাতি ভয়ে আর ব্যাথায় ছুটতে শুরু করেছিল। ছুটতে ছুটতে সে এসে চাষির ফসলের ক্ষেতে থেমেছিল। হাতি ফসলের ক্ষেতের চারপাশে ঘুরপাক খেতে লাগল। এর ফলে হাতির বিশাল দেহ আর গোদা পায়ের চাপে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হতে লাগল। 

৩) কোন প্রাণী কী খাবার খায় তা মিলিয়ে লেখো :-

উত্তর :- কাঠবেড়ালী - বাদাম। 

পিঁপড়ে - চিনির দানা। 

হাতি - কলাগাছ। 

পাখি - পোকামাকড়। 

হরিণ - ঘাস। 

৪) কাদের সম্পর্কে কী বলা হয়েছে মিলিয়ে লেখো :-

৪.১) কাঠপিঁপড়ে কিশোরী মেয়েটির ( বাঁ হাতে / ডান হাতে  ) কামড়ে দিয়েছিল । 

উত্তর :- বাঁ হাতে। 

৪.২) হাতি ( ধানের ক্ষেত  / আখের ক্ষেত  ) নষ্ট করে দিয়েছিল। 

উত্তর :- ধানের ক্ষেত। 

৪.৩) হরিণের ( পায়ের চাপে / শিঙের চাপে  ) পাখির বাসা ভেঙে গিয়েছিল। 

উত্তর :- পায়ের চাপে। 

৪.৪) কিশোরী মেয়েটির কাঠপিঁপড়ের ( কোমরে / পায়ে  ) সুতো বেধে ঝুলিয়ে রেখেছিল। 

উত্তর :- কোমরে। 

৫) বাঁ দিকের সঙ্গে ডানদিকের তালিকা মেলাও :-

উত্তর :-

পাখির - বাসা। 

গাছের - ডাল। 

ফসলের - ক্ষেত। 

হাতির - শূড়। 

হাতের - তালু। 

৬) নীচে গল্পের ঘটনাগুলি এলোমেলো করে দেওয়া হলো। তোমরা ঘটনা অনুযায়ী পরপর সাজিয়ে লেখো :-

উত্তর :-

৬.৫) কাঠপিঁপড়ের কামড় খেয়ে কিশোরী মেয়ের হাত থেকে কাটারি পড়ে গেল। 

৬.২) কাটারির আঘাতে কাঠবেড়ালীর লেজ কেটে গেল। 

৬.১) কাঠবেড়ালী রেগে উঁচু গাছের ফল হরিণের মাথায় ফেলে দিল। 

৬.৬) হরিণ ভয় পেয়ে ছুটে পালাল। 

৬.৩) হরিণের পায়ের চাপে পাখির বাসা ভেঙে গেল। 

৬.৪) ছোটো পাখি ভয় পেয়ে হাতির কানে ঢুকে পড়ল। 

৬.৭) হাতি কানের ব্যাথায় পাগল হয়ে চাষির ফসলের ক্ষেতে ঢুকে পড়ল। 

৬.৬) হাতির পায়ের চাপে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেল। 

৭) নীচে যে শব্দগুলি দেওয়া আছে, সেগুলি ব্যাক্তি, প্রাণী, বস্তু বা কাজের নাম, নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দ, মনের ভাব বা কাজকেই বোঝাচ্ছে।   তোমরা সেগুলি আলাদা করে, নীচের তালিকাটি সম্পূর্ণ করো :-

কাঠপিঁপড়ে, রাগ, কাটারি, সে সব, দৌড়, হাতি, লাফিয়ে উঠল, ভয়, সে, ঘুমোচ্ছিল, তার, ভেঙে দিল, ঝুলিয়ে রাখল। 

উত্তর :- 

ব্যাক্তি / প্রাণী / বস্তুর নাম ------ কাঠপিঁপড়ে, কাটারি, হাতি। 

নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দ ---- সে, তার। 

মনের ভাব ------ রাগ, ভয়। 

কাজের নাম ------- দৌড়। 

কোন কাজ - ঘুমোচ্ছিল, ভেঙে দিল, ঝুলিয়ে রাখল। 

৮) নীচে যে শব্দগুলি আছে তাদের অন্য অর্থ পাশের বাক্সে আছে । সেগুলি খুঁজে নিয়ে শব্দের পাশে পাশে লেখো। 

গাঁ, অরণ্য, পক্ষী, শাখা, দা, যন্ত্রণা, কৃষক, কন্যা। 

উত্তর :-

মেয়ে - কন্যা। 

পাখি - পক্ষী। 

গ্রাম - গাঁ। 

ডাল - শাখা। 

কাটারি - দা। 

ব্যথা - যন্ত্রণা। 

চাষি - কৃষক। 

বন - অরণ্য। 

৯) নীচে যে প্রাণীদের নাম দেওয়া আছে তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে দুটি করে বাক্য লেখো। 

হরিণ - হরিণের চারটি পা আছে। হরিণ ঘাস খায়। 

কাঠবেড়ালী - কাঠবেড়ালী খুব দ্রুত ছুটতে পারে। বাদাম খেতে ভালোবাসে। 

কাঠপিঁপড়ে - কাঠপিঁপড়ে গাছের ডালে থাকে। কাঠপিঁপড়ের কোমর সরু। 

হাতি - হাতি একটি বিশাল দেহী প্রাণী। হাতি কলাগাছ খায়। 

পাখি - পাখি আকাশে ওড়ে। পাখি পোকামাকড় খায়। 

১০) নীচের ছকে ঠিকমতো [√] বা [×] চিহ্ন দাও :-

উত্তর :- উড়তে পারে -- হাতি [×] পাখি [√] হরিণ [×] কাঠবেড়ালী [×]। 

লেজ আছে -- হাতি [√] পাখি [√] হরিণ [√] কাঠবেড়ালী [√]। 

ঘাস খায় -- হাতি [√] পাখি [×] হরিণ [√] কাঠবেড়ালী [×] । 

পালক আছে -- হাতি [×] পাখি [√] হরিণ [×] কাঠবেড়ালী [×]। 

শিং আছে -- হাতি [×] পাখি [×] হরিণ [√] কাঠবেড়ালী [×]। 


Comments

Popular posts from this blog

দেশের মাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 3

  শব্দার্থ :- শীতল - ঠান্ডা।  নাগ - সাপ।  ক্লান্তিহরা - যে ক্লান্তি দূর করে।  মাল্য - মালা।  খাঁটি - বিশুদ্ধ।  কমল - পদ্মফুল।  অঙ্গ - শরীর।  পাঁয়জোর - নূপুর।  শিয়র - মাথা।  কনক - সোনা।  নিদ-মহল -- ঘুমের প্রাসাদ।  অন্নপানি - খাবার ও জল, এককথায় খাদ্য।  নিতি - নিত্য, রোজ।  বার্তা - খবর।  ১) নীচের প্রশ্নগুলোর দু-এককথায় উত্তর দাও :- ১.১) তোমার দেশ কোনটি?  উত্তর :- আমার দেশ ভারতবর্ষ।  ১.২) সেই দেশটি কেমন?  উত্তর :- মধুর চেয়েও মধুর।  ১.৩) দেশে থাকতে কবির কেমন লাগে?  উত্তর :- দেশে থাকতে কবির খুবই ভালো লাগে।  ১.৪) এই কবিতায় এমন একটি ফলের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে খাবার এবং জল - দুটোই থাকে। কোন ফল তা লেখো।  উত্তর :- নারিকেল।  ১.৫) ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?  উত্তর :- কনক বা সোনা যেমন খুব মুল্যবান জিনিস তেমনি ধান ও খুব মুল্যবান জিনিস, তাই এখানে ধানকে কনকের সাথে তুলনা করা হয়েছে।  ১.৬) কবিতাটি কার লেখা?  উত্তর :- কবিতাটি কবি সত্যেন্দ্রনাথ দ...

পানতাবুড়ি যোগীন্দ্রনাথ সরকারের লেখা গল্পের প্রশ্ন উত্তর

  ১) এক কথায় উত্তর দাও :- ১.১) পানতাবুড়ির নাম অমন হলো কেন?  উত্তর :- সব দিন পানতাভাত খেত বলে।  ১.২) পানতাবুড়ির দিন চলত কেমন করে?  উত্তর :- ভিক্ষা করে।  ১.৩) পানতাবুড়ি কার জ্বালায় অস্থির?  উত্তর :- চোরের জ্বালায়।  ১.৪)  অস্থির হয়ে পানতাবুড়ি কি করতে চলল?  উত্তর :- রাজার কাছে নালিশ করতে চলল।  ১.৫) রাস্তায় প্রথমে তার কার সঙ্গে দেখা হলো?  উত্তর :- একটা বেল - এর সঙ্গে।  ১.৬) কিছুটা দূরে গিয়ে পানতাবুড়ির সঙ্গে কার দেখা হলো ?  উত্তর :-  একটা শিঙি মাছের ।  ১.৭) সূচ  বুড়িকে  কি বলেছিল?  উত্তর :- বুড়ি, বুড়ি কোথায় যাচ্ছো?  ১.৮) ক্রমে বুড়ির মাথা গরম হয়ে উঠল কেন?  উত্তর :- সবাই বারবার একই কথা জিজ্ঞেস করার জন্য।  ১.৯) বিরক্ত হয়ে বুড়ি কাকে কি বলেছিল?  উত্তর :- বিরক্ত হয়ে বুড়ি ছুরিকে  বলেছিল- যেথায় যাই না, তাতে তোর কি?  ১.১০) রাজবাড়ীর কাছে গিয়ে বুড়ি কি দেখল?  উত্তর :- বুড়ি দেখল, পথের ধারে একটা কুমির পড়ে আছে।  ১.১১) বুড়ি রাজবাড়ীতে কখন পৌছল?  উত্তর...

সাথী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রশ্ন উত্তর

  শব্দার্থ :- তেপান্তর - তিনটি প্রান্তর যেখানে মিলেছে, খুব বড়ো মাঠ।  ধু ধু - ফাকা, শূন্য।  ঝিলমিল - ঝিকমিক করা।  সাথি - সঙ্গি, বন্ধু।  আঁধি - ধুলিঝড়।  বিদ্যুল্লতা - লতার মত দেখতে বিদ্যুৎ, বিজলী।  অপরুপ - যার রুপের তুলনা হয়না।  বলাকা - পাখির ঝাক।  পারিযাত - কাল্পনিক ফুল।  সেথো - সঙ্গি, সাথি, বন্ধু।  বৃথা - ব্যার্থ, বিফল।  মিছিমিছি - শুধু শুধু, এমনি এমনি।  কুটোকাটা - খড়কুটো, ডালপালা।  ১) একটি বাক্যে উত্তর দাও :- ১.১) তালগাছ কোথায় একলা বাড়ল?  উত্তর :- তেপান্তর মাঠে।  ১.২) ঘন নীল ছায়ার মত কাদের দেখা যায়?  উত্তর :- দূরে মাঠ ঘেরা বনের লতাপাতাদের।  ১.৩) মাঠের চেয়ে বড়ো কে?  উত্তর :- মাঠের চেয়ে বড়ো আকাশ।  ১.৪) হাওয়ার সঙ্গে কে আসে?  উত্তর :- ফুলের গন্ধ।  ১.৫) ঝড়ের সঙ্গে কে কে আসে?  উত্তর :- আঁধি আর বৃষ্টি।  ১.৬) শরতের মেঘের সাথি কে?  উত্তর :- বলাকা।  ১.৭) তালগাছ কেন বৃথা আঁকুপাঁকু করে?  উত্তর :- তাদের সঙ্গে চলার জন্য।  ১.৮) তালগাছের কাছে কারা আসা...