শৈলেন ঘোষ জীবনী :-
শৈলেন ঘোষ ( জন্ম ১৯২৮) :- কৈশোরে ছোটদের পত্রিকা ' মাস পয়লা' য় প্রথম কবিতা লেখা। ' অরুণ বরুণ কিরণমাল ' শিশু নাটকটি সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার লাভ করে। তার রচিত উপন্যাস -- ' মিতুল নামে পুতুলটি ' জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত। অন্যান্য রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ' আমার নাম টায়রা ', 'গল্পের মিনারে পাখি ', ' ভূতের নাম আক্বুস ', ' টুই টুই ' ইত্যাদি। এছাড়াও ছোটদের জন্য অজস্র গল্প , ছড়া, নাটক রচনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য গল্প সংকলন -- ' হাসি ঝলমল মজা ', ' স্বপ্ন দেখি রূপকথায় ', ' ভালোবাসি পশুপাখি ', ' গল্পের রঙ রকম রকম'।
শব্দার্থ :- ধড় - দেহ।
ফিনফিনে - পাতলা।
দাঁত ছরকুট্টে - দাঁত বের করে।
কোথেকে - কোথা থেকে।
অঞ্জান - অচেতন।
গ্ৰাহ্যি - গ্ৰাহ্য , সমীহ।
১) এক কথায় উত্তর দাও :-
১.১) ভূতকে প্রথমে কে দেখতে পেয়েছিল?
উত্তর :- ভূতকে প্রথমে দেখতে পেয়েছিল কাক-ছানা।
১.২) কাকের ছানাটা কোন গাছের ডালে বসেছিল?
উত্তর :- নিমগাছের ডালে।
১.৩) আমড়াগাছে কে বসেছিল?
উত্তর :- হুতুমমুখো পেঁচা।
১.৪) কে কূট-কূট করে বেগুন গাছের কচি পাতা খাচ্ছিল?
উত্তর :- একটা গূটিপোকা।
২) তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :-
২.১) ভূতের চেহারা কেমন ছিল?
উত্তর :- ড্যাবরা-ড্যাবরা চোখ, থ্যাবড়া-থ্যাবড়া নাক আর ছিল ফিনফিনে ফুরফুর। হাত-পা ছিল না। ভূতটি ছিল ধড়কাটা নড়া-ছটকানো। সে দাঁত ছরকুট্টে বাগানে ঢুকে হাওয়ায় ছুটছিল।
২.২) ভূতকে দেখে হুতুমমুখো পেঁচার অবস্থা কেমন হয়েছিল?
উত্তর :- ফস করে ভূতটা হুতুমমুখো পেঁচার মাথায় একটা টোক্কা মারতেই হুতুমমুখো পেঁচা তাকে ধমকে উঠেছিল। ধমকে ওঠার পর চোখ খুলে তাকে দেখেই ভয়ে তার পিলে চমকে উঠেছিল। এবং ঢোঁক গিলে কঁক করে দম আটকে বেচারা স্বর্গ চলে গিয়েছিল।
২.৩) গুটিপোকা ভূতকে দেখে কি করেছিল আর মনে মনেই বা কি বলেছিল?
উত্তর :- গুটিপোকা ভূতটাকে দেখে একদমই ভয় পায়নি। আপন মনে কচি বেগুনপাতা খেয়ে যাচ্ছিল। ভূতটাকে দেখার পর মনে মনে বলেছিল ' ছাই, ভূত না আর কিছু '।
২.৪) বৃষ্টি নামার পর ভূতের অবস্থা কেমন হয়েছিল?
উত্তর :- ভূতের চেহারাটা জলের তোড়ে ভিজে ফাঁক হয়ে গিয়েছিল। ভূতের চোখ দিয়ে, নাক দিয়ে, মুখ দিয়ে দরদর করে গোলা জলের রঙ বেরিয়ে পড়ছিল। রঙ বেরোবার পরে দেখা গেল সেটা একটা খবরের কাগজের ছেড়া পাতা।
৩) কে, কোন গাছে বসেছিল লেখো :-
৩.১) গুটিপোকা _______________ ( লঙ্কা গাছ / বেগুন গাছ / জাম গাছ ) ।
উত্তর :- বেগুন গাছ।
৩.২) কাঠবেড়ালী _______________ ( পেয়ারা গাছ / লিচু গাছ / কলা গাছ )।
উত্তর :- পেয়ারা গাছ।
৩.৩) হুতুমমুখো পেঁচা _______________ ( আমড়া গাছ / আম গাছ / কাঁঠাল গাছ )।
উত্তর :- আমড়া গাছ।
৩.৪) কাগের ছানা ______________ ( শিম গাছ / নিম গাছ / বেল গাছ ) ।
উত্তর :- নিম গাছ।
৪) কে, কোন কথাটা বলেছে মিলিয়ে লেখো :-
উত্তর :- ' ও মাগো জলজ্যান্ত ভূত গো ' -- কাঠবেড়ালী।
' কে রা? ' -- প্যাচাঁ।
' ক্যাঁ-এ্যঁ-এ্যঁ ( কান্না) -- কাগ ছানা।
' ছাই, ভূত না আর কিছু ' -- গুটিপোকা।
৫) শূন্যস্থান পূরণ করো ( পাশের ঝুড়িতে যে শব্দগুলি আছে সাহায্য নাও)
বেগুন, খবরের, ঝড়ের, পর্দা।
৫.১) হুতুমমুখো পেঁচাটা বাঁ চোখের ________ ফেলে ডান চোখ খুলে রেখেছিল।
উত্তর :- পর্দা।
৫.২) কাঠবেড়ালী পেয়ারা গাছের ডাল জড়িয়ে _________ হাওয়ায় দোল খাচ্ছিল।
উত্তর :- ঝড়ের।
৫.৩) ভূতটা আসলে কাকুর __________ কাগজের ছেঁড়া পাতার আঁকা ছিল।
উত্তর :- খবরের।
৫.৪) ভূতটা ________ গাছের কাঁটায় আটকে গেল।
উত্তর :- বেগুন।
Comments