Skip to main content

আগমনী কবিতা প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রশ্ন উত্তর

 ১) একটি বাক্যে উত্তর দাও :-

১.১) শরৎ ঋতুর আগে কোন ঋতু আসে? 

উত্তর :- বর্ষা। 

১.২) শরৎকালে বাঙালিদের কি কি উৎসব হয়? 

উত্তর :- শরৎকালে অনেক ধরনের পূজা-পার্বণ হয়। 

২) দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :-

২.১) শরৎকালে প্রকৃতির রুপ কেমন থাকে? 

উত্তর :- রোদ্দুর মিঠে থাকে। আকাশ-বাতাস সব আনমনা হয়ে থাকে। 

২.২) শরৎকালের মেঘ দেখতে কেমন হয়? 

উত্তর :- শরৎকালের মেঘ দেখতে সাদা-নীল হয়। এরা হালকা হয়ে আকাশে ওড়াওড়ি করে। 

২.৩) শরৎকাল প্রসঙ্গে মনে পড়ে এমন দুটো সাদা জিনিসের নাম করো ( একটা থাকে আকাশে, আর একটা থাকে মাঠে)। 

উত্তর :- আকাশে থাকে সাদা রঙের মেঘ। আর মাঠে থাকে সাদা রঙের কাশফুল। 

৩) বুঝতে-খুঁজতে, আকাশ-বাতাস ---- এই জোড়া শব্দগুলির মধ্যে যেমন ছন্দের মিল আছে , তেমনভাবে ছন্দ মিলিয়ে নীচের তালিকাটি সাজাও :-

উত্তর :- রোদ্দুর - সমুদ্দুর। 

প্রাচীন - অচিন। 

ধ্বনি - আগমনী। 

বর্ষা - ভরসা। 

হাঁক - ডাক। 

৪) যে শব্দটি বেমানান তাতে গোল দাগ দাও :-

৪.১) শীত, বসন্ত, হেমন্ত, বৈশাখ, গ্ৰীষ্ম। 

উত্তর :- বৈশাখ। 

৪.২) মেঘ, আগুন, বৃষ্টি, জল, বজ্রপাত। 

উত্তর :- আগুন। 

৪.৩) দূর্গা, কাশ, বরফ,  শরৎ, নীল আকাশ। 

উত্তর :- বরফ। 

৫) পাশের শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :-

সাদা, ঢাকের, আশ্বিন, নীল, কাশ, আনন্দে, তুলোই, কালো, দূর্গা পূজো,  ঈদ, পেঁজা। 

উত্তর :- শরৎ আমাদের সকলেরই খুব প্রিয় ঋতু। ভাদ্র (আশ্বিন)  এই দুই মাসেই শরৎকাল। এই সময় আকাশ থেকে বর্ষার ( কালো  ) মেঘ সরে যায় এবং ( নীল  ) আকাশে ছড়িয়ে থাকে ( সাদা) রঙের ( পেঁজা  ) তুলোর মতো মেঘ। মাঠ ভরে থাকে ( কাশ  ) ফুলে। বাতাসে ভাসে ( ঢাকের  ) শব্দ। বাঙালির প্রাণের উৎসব ( দুর্গাপূজা)  এবং ( ইদ  ) এই শরৎকালেই হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাই মেতে ওঠে উৎসবের ( আনন্দে  ) । 

৬) নীচের সূত্রগুলি ব্যবহার করে শরৎকাল সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো :-

( নীল আকাশ -- সাদা মেঘের ভেলা -- কাশফুল -- উৎসব -- বেড়ানো -- ছুটি -- মজা  ) 

উত্তর :- শরৎকালে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা উড়ে-বেড়াতে দেখা যায়।  এই সময়ে মাঠে-ঘাটে কাশফুলের দেখা পাওয়া যায়। শরৎকালেই বাঙালিদের প্রিয় সব উৎসব শুরু হয়। পুজা-পার্বণ উপলক্ষে ঘুরে-বেড়িয়ে মন্ডপ দেখা হয়। নানান ধরনের উৎসবের জন্য এই সময় বিদ্যালয় ও প্রায় ছুটি থাকে। সারা শরৎকাল খুব মজা করেই কাটে। 

প্রেমেন্দ্র মিত্র জীবনী :-

প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯০৪-১৯৮৮) :- রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি, গল্পকার। ছোটদের জন্য সৃষ্টি করেছেন ' ঘনাদা '। এছাড়া বিঞ্জানভিত্তিক কাহিনী, রোমাঞ্চকর কাহিনী, গোয়েন্দা গল্প এইসব ধরনের রচনাতেই তিনি পারদর্শী ছিলেন। ১৯২৬ সালে ' কল্লোল ' পত্রিকার কবি হিসেবে তার প্রথম খ্যাতি। তার রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ' সাগর থেকে ফেরা ', ' হরিণ-চিতা-চিল ' ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি প্রচুর সার্থক ছোটগল্প লিখেছেন। 

Comments

Popular posts from this blog

দেশের মাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 3

  শব্দার্থ :- শীতল - ঠান্ডা।  নাগ - সাপ।  ক্লান্তিহরা - যে ক্লান্তি দূর করে।  মাল্য - মালা।  খাঁটি - বিশুদ্ধ।  কমল - পদ্মফুল।  অঙ্গ - শরীর।  পাঁয়জোর - নূপুর।  শিয়র - মাথা।  কনক - সোনা।  নিদ-মহল -- ঘুমের প্রাসাদ।  অন্নপানি - খাবার ও জল, এককথায় খাদ্য।  নিতি - নিত্য, রোজ।  বার্তা - খবর।  ১) নীচের প্রশ্নগুলোর দু-এককথায় উত্তর দাও :- ১.১) তোমার দেশ কোনটি?  উত্তর :- আমার দেশ ভারতবর্ষ।  ১.২) সেই দেশটি কেমন?  উত্তর :- মধুর চেয়েও মধুর।  ১.৩) দেশে থাকতে কবির কেমন লাগে?  উত্তর :- দেশে থাকতে কবির খুবই ভালো লাগে।  ১.৪) এই কবিতায় এমন একটি ফলের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে খাবার এবং জল - দুটোই থাকে। কোন ফল তা লেখো।  উত্তর :- নারিকেল।  ১.৫) ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?  উত্তর :- কনক বা সোনা যেমন খুব মুল্যবান জিনিস তেমনি ধান ও খুব মুল্যবান জিনিস, তাই এখানে ধানকে কনকের সাথে তুলনা করা হয়েছে।  ১.৬) কবিতাটি কার লেখা?  উত্তর :- কবিতাটি কবি সত্যেন্দ্রনাথ দ...

পানতাবুড়ি যোগীন্দ্রনাথ সরকারের লেখা গল্পের প্রশ্ন উত্তর

  ১) এক কথায় উত্তর দাও :- ১.১) পানতাবুড়ির নাম অমন হলো কেন?  উত্তর :- সব দিন পানতাভাত খেত বলে।  ১.২) পানতাবুড়ির দিন চলত কেমন করে?  উত্তর :- ভিক্ষা করে।  ১.৩) পানতাবুড়ি কার জ্বালায় অস্থির?  উত্তর :- চোরের জ্বালায়।  ১.৪)  অস্থির হয়ে পানতাবুড়ি কি করতে চলল?  উত্তর :- রাজার কাছে নালিশ করতে চলল।  ১.৫) রাস্তায় প্রথমে তার কার সঙ্গে দেখা হলো?  উত্তর :- একটা বেল - এর সঙ্গে।  ১.৬) কিছুটা দূরে গিয়ে পানতাবুড়ির সঙ্গে কার দেখা হলো ?  উত্তর :-  একটা শিঙি মাছের ।  ১.৭) সূচ  বুড়িকে  কি বলেছিল?  উত্তর :- বুড়ি, বুড়ি কোথায় যাচ্ছো?  ১.৮) ক্রমে বুড়ির মাথা গরম হয়ে উঠল কেন?  উত্তর :- সবাই বারবার একই কথা জিজ্ঞেস করার জন্য।  ১.৯) বিরক্ত হয়ে বুড়ি কাকে কি বলেছিল?  উত্তর :- বিরক্ত হয়ে বুড়ি ছুরিকে  বলেছিল- যেথায় যাই না, তাতে তোর কি?  ১.১০) রাজবাড়ীর কাছে গিয়ে বুড়ি কি দেখল?  উত্তর :- বুড়ি দেখল, পথের ধারে একটা কুমির পড়ে আছে।  ১.১১) বুড়ি রাজবাড়ীতে কখন পৌছল?  উত্তর...

সাথী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রশ্ন উত্তর

  শব্দার্থ :- তেপান্তর - তিনটি প্রান্তর যেখানে মিলেছে, খুব বড়ো মাঠ।  ধু ধু - ফাকা, শূন্য।  ঝিলমিল - ঝিকমিক করা।  সাথি - সঙ্গি, বন্ধু।  আঁধি - ধুলিঝড়।  বিদ্যুল্লতা - লতার মত দেখতে বিদ্যুৎ, বিজলী।  অপরুপ - যার রুপের তুলনা হয়না।  বলাকা - পাখির ঝাক।  পারিযাত - কাল্পনিক ফুল।  সেথো - সঙ্গি, সাথি, বন্ধু।  বৃথা - ব্যার্থ, বিফল।  মিছিমিছি - শুধু শুধু, এমনি এমনি।  কুটোকাটা - খড়কুটো, ডালপালা।  ১) একটি বাক্যে উত্তর দাও :- ১.১) তালগাছ কোথায় একলা বাড়ল?  উত্তর :- তেপান্তর মাঠে।  ১.২) ঘন নীল ছায়ার মত কাদের দেখা যায়?  উত্তর :- দূরে মাঠ ঘেরা বনের লতাপাতাদের।  ১.৩) মাঠের চেয়ে বড়ো কে?  উত্তর :- মাঠের চেয়ে বড়ো আকাশ।  ১.৪) হাওয়ার সঙ্গে কে আসে?  উত্তর :- ফুলের গন্ধ।  ১.৫) ঝড়ের সঙ্গে কে কে আসে?  উত্তর :- আঁধি আর বৃষ্টি।  ১.৬) শরতের মেঘের সাথি কে?  উত্তর :- বলাকা।  ১.৭) তালগাছ কেন বৃথা আঁকুপাঁকু করে?  উত্তর :- তাদের সঙ্গে চলার জন্য।  ১.৮) তালগাছের কাছে কারা আসা...