১) একটি বাক্যে উত্তর দাও :-
১.১) শরৎ ঋতুর আগে কোন ঋতু আসে?
উত্তর :- বর্ষা।
১.২) শরৎকালে বাঙালিদের কি কি উৎসব হয়?
উত্তর :- শরৎকালে অনেক ধরনের পূজা-পার্বণ হয়।
২) দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :-
২.১) শরৎকালে প্রকৃতির রুপ কেমন থাকে?
উত্তর :- রোদ্দুর মিঠে থাকে। আকাশ-বাতাস সব আনমনা হয়ে থাকে।
২.২) শরৎকালের মেঘ দেখতে কেমন হয়?
উত্তর :- শরৎকালের মেঘ দেখতে সাদা-নীল হয়। এরা হালকা হয়ে আকাশে ওড়াওড়ি করে।
২.৩) শরৎকাল প্রসঙ্গে মনে পড়ে এমন দুটো সাদা জিনিসের নাম করো ( একটা থাকে আকাশে, আর একটা থাকে মাঠে)।
উত্তর :- আকাশে থাকে সাদা রঙের মেঘ। আর মাঠে থাকে সাদা রঙের কাশফুল।
৩) বুঝতে-খুঁজতে, আকাশ-বাতাস ---- এই জোড়া শব্দগুলির মধ্যে যেমন ছন্দের মিল আছে , তেমনভাবে ছন্দ মিলিয়ে নীচের তালিকাটি সাজাও :-
উত্তর :- রোদ্দুর - সমুদ্দুর।
প্রাচীন - অচিন।
ধ্বনি - আগমনী।
বর্ষা - ভরসা।
হাঁক - ডাক।
৪) যে শব্দটি বেমানান তাতে গোল দাগ দাও :-
৪.১) শীত, বসন্ত, হেমন্ত, বৈশাখ, গ্ৰীষ্ম।
উত্তর :- বৈশাখ।
৪.২) মেঘ, আগুন, বৃষ্টি, জল, বজ্রপাত।
উত্তর :- আগুন।
৪.৩) দূর্গা, কাশ, বরফ, শরৎ, নীল আকাশ।
উত্তর :- বরফ।
৫) পাশের শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :-
সাদা, ঢাকের, আশ্বিন, নীল, কাশ, আনন্দে, তুলোই, কালো, দূর্গা পূজো, ঈদ, পেঁজা।
উত্তর :- শরৎ আমাদের সকলেরই খুব প্রিয় ঋতু। ভাদ্র (আশ্বিন) এই দুই মাসেই শরৎকাল। এই সময় আকাশ থেকে বর্ষার ( কালো ) মেঘ সরে যায় এবং ( নীল ) আকাশে ছড়িয়ে থাকে ( সাদা) রঙের ( পেঁজা ) তুলোর মতো মেঘ। মাঠ ভরে থাকে ( কাশ ) ফুলে। বাতাসে ভাসে ( ঢাকের ) শব্দ। বাঙালির প্রাণের উৎসব ( দুর্গাপূজা) এবং ( ইদ ) এই শরৎকালেই হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাই মেতে ওঠে উৎসবের ( আনন্দে ) ।
৬) নীচের সূত্রগুলি ব্যবহার করে শরৎকাল সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো :-
( নীল আকাশ -- সাদা মেঘের ভেলা -- কাশফুল -- উৎসব -- বেড়ানো -- ছুটি -- মজা )
উত্তর :- শরৎকালে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা উড়ে-বেড়াতে দেখা যায়। এই সময়ে মাঠে-ঘাটে কাশফুলের দেখা পাওয়া যায়। শরৎকালেই বাঙালিদের প্রিয় সব উৎসব শুরু হয়। পুজা-পার্বণ উপলক্ষে ঘুরে-বেড়িয়ে মন্ডপ দেখা হয়। নানান ধরনের উৎসবের জন্য এই সময় বিদ্যালয় ও প্রায় ছুটি থাকে। সারা শরৎকাল খুব মজা করেই কাটে।
প্রেমেন্দ্র মিত্র জীবনী :-
প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯০৪-১৯৮৮) :- রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি, গল্পকার। ছোটদের জন্য সৃষ্টি করেছেন ' ঘনাদা '। এছাড়া বিঞ্জানভিত্তিক কাহিনী, রোমাঞ্চকর কাহিনী, গোয়েন্দা গল্প এইসব ধরনের রচনাতেই তিনি পারদর্শী ছিলেন। ১৯২৬ সালে ' কল্লোল ' পত্রিকার কবি হিসেবে তার প্রথম খ্যাতি। তার রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ' সাগর থেকে ফেরা ', ' হরিণ-চিতা-চিল ' ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি প্রচুর সার্থক ছোটগল্প লিখেছেন।
Comments